উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম আমিরে শরীয়ত হজরত মাওলানা শ্বায়েখ আহমদ আলী বাঁশকান্দী (রহ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

মাওলানা তাইয়্যেব কাসমী (গুয়াহাটি)
👉১৯১৫: করিমগঞ্জ জেলা বদরপুরের আলাকুলিপুর নামক গ্রামে পিতা নছির আলী ও মাতা ফরিদা বিবির ঘরে শুভাগমন।
👉১৯৩৩: মক্তবে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করে বদরপুর দেওরাইল আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি ও কোর্স সমাপন।
👉১৯৩৮: সিলেট আলিয়া মাদ্রাসায় বাৎসরিক পরীক্ষা ও শ্বাইখুল ইসলাম হযরতুল আল্লাম হযরত আল্লামা সৈয়্যীদ হুছাইন আহমদ মাদানী (রহ) এর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ।
👉১৯৩৯: ঢাকা ইনিভার্সিটি থেকে হাই মাদ্রাসা পরীক্ষা ও প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ।
👉১৯৪০: হজরত মদনী (রহ)খিদমতে আত্ম-সমর্পণ ও বায়াত দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম যাত্রা ও কু দৃষ্টির কারণে দীর্ঘ সাত বৎসর ভীষণ রোগ গ্রস্ত।
👉১৯৪৫: বাংলাদেশের যশোহর মনিরামপুর মাদ্রাসায় অধ্যক্ষতা ও বাংলা সাহিত্যের শিক্ষা অর্জন।
👉১৯৪৭: দীর্ঘ সাত বৎসর পর কু-দৃষ্টির রোগ থেকে মুক্তি লাভ।
👉 ১৯৪০-১৯৪৭: স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও অখণ্ড ভারত সংগ্রামে জমিয়তের মাধ্যমে বিরামহীন প্রচেষ্টা।
👉১৯৪৮: ফেব্রুয়ারীতে “সিলেট রেফারেণ্ডমে” সিলেটকে ভারত মুক্ত করতে প্রাণপণ চেষ্টা ও নগাও জমিয়তের ৭ম অধিবেশন অংশগ্রহণ।
👉১৯৫০: সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দমনের জন্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ। বিবাহ দেওবন্দে দ্বিতীয় যাত্রা ও হাদিস শাস্ত্রে সর্ণদ প্রাপ্ত।
👉১৯৫১: দারুল উলুম দেওবন্দে দাওরায়ে তাফসিরে ভর্তি ও আড়াই মাসে ক্বোরআন শরীফ হিফজ।
👉১৯৫২:পবিত্র হজ্ব জিয়ারত ও আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য মদিনা শরীফে এক বৎসর অবস্থান।
👉১৯৫৩: হজরত মদনী (রহ) থেকে আধ্যাত্বিকতার খিলাফত প্রাপ্ত ও বতসরান্তে দ্বিতীয় হজ্ব সফর।
👉১৯৫৪: পুনরায় দারুল উলুম বাঁশকান্দী মাদ্রাসার শিক্ষক ও মিশকাত শরীফের ক্লাস আরম্ভনি।
👉১৯৫৫: দারুল উলুম বাঁশকান্দী মাদ্রাসার শ্বায়খুল হাদিসের দায়িত্ব ভাব গ্রহন করেন।
👉১৯৫৭: আসাম রাজ্যিক জমিয়ত উলামা হিন্দের সভাপতির আসনে নির্বাচিত।
👉১৯৬২: আসামের মুসলিম সমাজকে পাকিস্তান বিতাড়ন নামে জুলুম ও বর্বরতার বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা ও নিপীড়িত মুসলমানদের তীব্ বাসনা নিয়ে সরকারের সম্মুখে হাজিরি।
👉১৯৭৯: মূলক ও মিল্লত “বাচাও তাহরিকে” দিল্লির বিখ্যাত কারাগার তিহার জেলে সঙ্গে কিছু আসামের সহকারি নিয়ে বন্দী।
👉১৯৬০-৮০: পর্যন্ত বিশেষ করে আসামের প্রান্তে প্রান্তে, গ্রামে-গঞ্জে দ্বীনি সফর ও বয়াত।
👉১৯৮১: গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জামে মসজিদ ও দিসপুর জামে মসজিদের ভিত্ত্বি স্থাপন।
👉১৯৮০-৮২: আসামের বহিরাগত সমস্যা সমাধানের জন্য দিল্লি সফর ও ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ।
👉১৯৮৩: নেলির সম্প্রদায়িক দাঙ্গা দমনের জন্য বিরামহীন অভিযান।
👉১৯৯২:#সর্বসম্মতিক্রমে উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম আমীরে শরীয়ত মনোনীত_হন
👉১৯৯২: ক্বাদিয়ানী ফিতনা দমনের জন্য গৌহাটিতে প্রশিক্ষণ কেম্প আয়োজন।
👉১৯৯৭: গৌহাটি হাতিগাঁওয়ে স্থায়ী খানকার প্রতিষ্ঠা কোকড়াঝাড় ও বঙ্গাইগাঁও দাঙ্গায় নিহিত অসহায় ৬০০ শিশু কে বাঁশকান্দি মাদ্রাসায় শিক্ষা ও আশ্রয় প্রদান।
👉১৯৯৭: হজ্বে বায়তুল্লাহর উদ্দেশ্যে শেষ সফর।সঙ্গে ছিলেন বর্তমান উত্তর-পূর্ব ভারতের তৃতীয় আমিরে শরীয়ত হযরত মাওলানা শ্বায়েখ মোহাম্মদ ইয়াহিয়া সাহেব।
👉১৯৯৮: হজ্বে বাইতুল্লার উদ্দেশ্যে শেষ সফর।সঙ্গে ছিলেন হজরতের আদরের সন্তান হজরত আমীরে শরীয়ত শ্বায়েখ মোহাম্মদ ইয়াহইয়া সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।
👉২০০০:১ লা এপ্রিল গৌহাটি জ্বজফিল্ডে লক্ষাধিক গণ মানুষের সমাবেশে তিনার শেষ ভাষণ।
👉২০০০:১১ জুন মুম্বাই লীলাবতি হাসপাতালে এ অস্থায়ী জগৎ থেকে স্থায়ী জগতে স্থানান্তর করে চির নিদ্রায় মালিকে হক্বিকির সন্ধিক্ষণে গমন।
৫ লক্ষের ও অধিক লোক জানাযার নামাজ আদায় করে বাঁশকান্দীতে চির নিদ্রায়। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেনো হজরতের কবরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দিন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।