আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার ফাঁসি চেয়ে ধর্নায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলেন আল্টিমেটাম

Eastern
3 Min Read

আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার ফাঁসি চেয়ে ধর্নায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলেন আল্টিমেটাম

সিবিআইকে সময় বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

ইস্টার্ন ক্রিসেন্ট নিউজ ডেস্ক: (জামিল আহমেদ কাসমী) পশ্চিমবঙ্গের বহু পুরোনো আর জি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষীদের ফাঁসি চেয়ে এবার রাজপথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (সিবিআই) রবিবারের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

শুক্রবার কলকাতার রাজপথে একেবারে সামনের সারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসংখ্য প্ল্যাকার্ডসহ একটি মিছিলে দেখা যায়, তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সাংসদ এবং বিধায়কেরা।

কলকাতার মৌলালী থেকে হাঁটা শুরু করে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিলটি গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান- শনিবারও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ হবে নগরীর সব ব্লকে ব্লকে। তিনি বলেন, ‘ফেক ভিডিও তৈরি করে মানুষকে উত্তেজিত করে দিচ্ছে কেউ কেউ। সব সংবাদ সত্য নয়, সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে পয়সা কামানোর জন্য, রাজনীতি করার জন্য মিথ্যে ঘটনা বানানো হচ্ছে।

Advertisement
Advertisement

তিনি বলেন, ‘দোষীদের ফাঁসি হোক, আমরা ফাঁসির পক্ষে। রাজ্য সরকার কলকাতা পুলিশকে সব রকম সাহায্য করবে। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর কথা শুনে কলকাতা পুলিশ কাজ করেছে। সব রকম পরীক্ষা করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে শুরু করে যত এভিডেন্স সব সংগ্রহ করেছে। রাত দুটো পর্যন্ত আমি ওদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম।’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ধর্ষিত ও নিহত তরুণী চিকিৎসকের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর বাবা-মাকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপির এক নেত্রী।

পশ্চিমবঙ্গে নারীদের নিরাপত্তা-হীনতার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের জন্য বিজেপির পাশাপাশি সিপিএম দায়ী বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রমাণ লোপাট করার জন্য আরজি কর হাসপাতালে হামলা করা হয় বলেও দাবি তাঁর।

তরুণী চিকিৎসকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মেয়েটি রাত ১টায় খেয়েছিল। ২টায় ঘুমোতে যায়। তারপর ৯টা পর্যন্ত ও কী করল, আপনারা কেউ খোঁজ নিলেন না?’

মমতা আরও বলেন, ‘আন্দোলনে আমার জন্ম। আন্দোলনেই আমার মৃত্যু হবে। ক্ষমতা থাকলে আমায় ছুঁয়ে দেখবেন।’

সব শেষে তিনি বলেন, ‘আমাকে শান্ত থাকতে দিন। যত শান্ত থাকব তত ভালো। না হলে আমি টর্নেডো, সাইক্লোন হয়ে যাই, জীবন্ত লাশ হয়ে যাই। কোথায় মারবেন আমাকে, পুলিশ থাকবে না, একা যাব, গুলি করে মারুন। দেখব কত ক্ষমতা। কিন্তু আমাকে চমকালে ধমকালে কোনো লাভ নেই।’

Share This Article
Leave a Comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।