উত্তর পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় আমীরে শরীয়ত হজরত আল্লামা মুফতী খায়রুল ইসলাম সাহেব রহঃ
জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে আমরা ভূলিনি স্মৃতিপটে তুমি চির ভাস্বর।
কলমে: মাহমুদুল হাছান
সদস্য,করিমগঞ্জ জেলা জমিয়ত উলামা।।
২০২০ ইংরেজির ২ জুলাই বৃহস্পতিবার-উত্তর পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় আমীরে শরীয়ত হজরত আল্লামা মুফতী খায়রুল ইসলাম সাহেব রহঃ এ পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছিলেন।
একনজরে মরহুম আমীরে শরীয়ত
১৯৩৪ সনে তিনি নগাঁও জিলার ধিং সমষ্টির পরমাইভেটিতে এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।
১৯৬৫ সনে তিনি হাছিনা খাতুন নামের এক ধর্মপ্রাণ মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৬৩ সনে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে মুফতী এবং মাওলানা ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৬৪ সনে তিনি অসম দারুল হদিস জয়নগরের শিক্ষকতার মাধ্যমে উনার কর্ম জীবন আরম্ভ করেন।
১৯৭০ সনে নিজ এলাকার দারুল হাদিস পরমাইভেটিতে আসেন,তাহারই হাত ধরে এখানে দাওরায়ে হাদিস চালু হয় এবং তিনি এখানকার প্রতিষ্ঠাতা শ্বায়খুল হাদীস ছিলেন।
১৯৮৬ সনে তিনি অসম রাজ্যিক জমিয়ত উলামার সহসভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৯০ সনে তিনি উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম নাইবে আমীরে শরীয়ত নির্বাচিত হন।
২০০০ সনে উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম আমীরে শরীয়ত,কুতবুল আলম মাওঃ শ্বায়খ আহমদ আলীর মৃত্যুর পর তিনি উত্তর পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় আমীরে শরীয়ত নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সন থেকে তিনি পাঁচ বার হজ্ব পালন করেন।
২০০৮ সনে তিনি অসম রাজ্যিক দ্বীনি তালিমি বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০১৭ সনে তিনি জমিয়ত উলামার সর্বভারতীয় সহসভাপতি নির্বাচিত হন।
২০২০ সালের ২ রা জুলাই এ মহামানব স্রষ্টার ডাকে সাড়া দিয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করে পারাপারে পাড়ি দেন।বিশাল জানাজার নামাজের মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘঠে একটা ইতিহাসের।
তিনি একাধারে একজন বিদগ্ধ ইসলামিক পন্ডিত, লেখক, দক্ষ সংগঠক, গবেষক ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন। রাজ্য জমিয়তের মুখপাত “সাদিনীয়া জমিয়ত” নামক সপ্তাহি পত্রিকার মূখ্য সম্পাদক ছিলেন। তিনি প্রায় ১২ টি পুস্তকের লেখক ছিলেন। মহান আল্লাহ তার সারা জীবনের খিদমাতকে ছাদক্বায়ে জারিয়া হিসাবে কবুল করুন এব জান্নাতুল ফেরদৌসের উঁচু থেকে উঁচু মাকাম দান করেন।। আমীন