অত্যাচারীর বিরুদ্ধে সকল নির্যাতিতদের ঐক্য ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বার্তা।
লেখক: মুহাম্মদ নাজিম আহমদ
মাল্টা থেকে প্রত্যাবর্তনের পর শায়খুল হিন্দ হজরত মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী (রহ) ফতোয়ায় তর্ক-ই-মাওয়ালাত জামিয়া মিল্লীয়া ইসলামিয়ায় উদ্বোধনী ভাষণ এবং জমিয়ত উলামা ই হিন্দের সভায় সভাপতির বক্তব্যে বলেন যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এদেশে অবৈধভাবে রয়েছে এবং এখানকার জনগণের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার হরণ করছে এবং ইসলামী দেশ ও উসমানীয়া খিলাফতকে ধ্বংস করেছে
তাই স্বাধীনতাকামী মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইংরেজ সরকারের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা ত্যাগ করা এবং এই আন্দোলনকে চালিয়ে যাওয়া।
এই আদর্শ নিয়ে জমিয়ত উলামা ই হিন্দ খিলাফত আন্দোলন লবণ আন্দোলন আইন অমান্য আন্দোলন এবং ইংরেজ ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। সম্পূর্ণ স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক সার্বভৌমত্বের প্রথম প্রস্তাব জমিয়ত উলামা ই হিন্দ উত্থাপিত করেছিল সাইমন কমিশনকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয় জমিয়ত উলামা ই হিন্দের সিদ্ধান্তের পরে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করে কংগ্রেস তার 1929 সালের অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেয় যে তার ও মূলমন্ত্র হল সম্পূর্ণ স্বাধীনতা এবং স্বাধীন ভারতের জন্য কোন সাংবিধানিক ফর্মুলা মুসলমানদের সম্মতি ছাড়া গৃহীত করা হবে না তখন জমিয়ত উলামা ই হিন্দ এই দুটি নীতিকে সমর্থন করে। কংগ্রেসকে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেয় শর্ত সাপেক্ষে স্বাধীনতা আন্দোলন।
স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় জমিয়ত উলামা ই হিন্দ স্বাধীন ভারতের সংবিধান কেমন হবে আর তাতে মুসলমানদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে এই বিষয়ে তাদের তত্ত্ব উপস্থাপন করেছিল।
যে দেশের ব্যবস্থা হবে ফেডারেল যেখানে প্রদেশগুলো স্বাধীন হবে মুসলমানদের এমারত ও দারুল কাজার বিচার ব্যবস্থা সাংবিধানিক ও সরকারি মর্যাদা পাবে এবং মুসলিমরা পঁয়তাল্লিশ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব পাবে।
প্রত্যাশিত সমস্যার সমাধানের জন্য জমিয়ত উলামা ই হিন্দ সাংবিধানিক তত্ত্ব পেশ করেছিল কিছু লোক একই সমস্যার কথা উল্লেখ করে দেশ ভাগের কথা ছেড়ে দিয়েছিল কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিভাজন সমস্যার সমাধান ছিল না এটি আরো একটি সমস্যা ছিল। বিশেষত বিভক্ত ভারতের জন্য বিভাজন প্রবক্তাদের কাছে মুসলমানদের জন্য কোন দিক নির্দেশনা ছিল না তাই জমিয়ত উলামা ই হিন্দ দেশভাগের ধারণার বিরোধিতা করেছিল এবং জমিয়ত উলামা ই হিন্দ কে সমর্থনকারী দলগুলো কে নিয়ে একটি সাধারণ মঞ্চ গঠন করেছিল।
মাতৃভূমি ভারতের সাথে আমাদের ভালবাসার সম্পর্ক ভারতের সংবিধানের সাথে আনুগত্যের সম্পর্ক এবং দেশের সরকারগুলির সাথে একটি সম্পর্ক যে তারা যুদি সংবিধান মেনে চলে আমরা তাদেরকে সমর্থন করি অন্যথায় আমরা তাদেরকে সংবিধানে আবদ্ধ করার চেষ্টা করি।