বেঙ্গালুরুতে তীব্র সংকটে পানি ব্যবহারে নানা নিষেধাজ্ঞা, এক বালতি পানি ব্যাবহারে দিতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা
ইস্টার্ন ক্রিসেন্ট নিউজ ডেস্কঃ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে পানি সঞ্চিত আছে কিন্তু সারা পৃথিবীতে সমানভাবে বিতরণ করা হয় না। এটি একটি সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয় । জলের বিভিন্ন উৎস হল- সমুদ্র, হ্রদ, বৃষ্টি, কূপ, স্রোত, জলাশয় এবং পুকুর। এটি ধোয়া, পানীয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয়।
সম্ভবত বেশিরভাগ মানুষের জন্য জলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দৈনন্দিন ব্যবহার হল গৃহস্থালির জল ব্যবহার। গার্হস্থ্য ব্যবহারে বাড়িতে প্রতিদিন ব্যবহৃত জল অন্তর্ভুক্ত থাকে, যার মধ্যে সাধারণ গৃহস্থালি ব্যবহারের জন্য জল, যেমন পানীয়, রান্নার খাবার, স্নান, জামাকাপড় এবং থালা-বাসন ধোয়া, টয়লেট ফ্লাশ করা এবং লন এবং বাগানে সেচ দেওয়া।
কিন্ত বর্তমানে আমাদের ভারত শহরের বেঙ্গালুরুতে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ সংকট মোকাবিলায় গাড়ি ধোয়া, নির্মাণকাজ, বাগান পরিচর্যাসহ বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে পানির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা।
দৈনন্দিন কাজে পানির অভাবে দিশেহারা মানুষদের মধ্যে সরকারের এ নির্দেশ এসেছে ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হিসেবে। তবে নির্দেশ অমান্য করে পানি ব্যবহার করলে পাঁচ হাজার রুপি জরিমানা আদায় করতে হবে। আর প্রতিবার নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আরো ৫০০ রুপি করে জরিমানার সঙ্গে যুক্ত হতে থাকবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন বোর্ড জানিয়েছে, নগরবাসীকে যানবাহন ধোয়া, নির্মাণ ও বিনোদন কাজে, সিনেমা হলে এবং বাগান পরিচর্যায় পানি ব্যবহার এড়াতে হবে।
গত তিন মাস ধরে চলা পানির সংকট ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে গত কয়েকদিনে। নাজুক অবস্থা গোটা কর্ণাটক রাজ্যেই। হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে তুমাকুরু, উত্তর কন্নড় জেলাতেও। তবে তীব্র সংকট ধারণ করেছে রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। সেখানে এক বালতি পানি কিনতে মানুষকে গুনতে হচ্ছে এক থেকে দুই হাজার ভারতীয় রুপি। ভারতের অপেক্ষাকৃত সমৃদ্ধ ও উন্নত শহরগুলোর একটি বেঙ্গালুরু, জনসংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ। মহানগরীতে দৈনিক পানির চাহিদা ২৬০ থেকে ২৮০ কোটি লিটার। কিন্তু, এই চাহিদার বিপরীতে সরকার সরবরাহ করতে পারছে ১১০ থেকে ১৩০ কোটি লিটার। অর্থাৎ দিনে ঘাটতি থাকছে ১৫০ কোটি লিটারের বেশি।
আর এই সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে সরকার। তড়িঘড়ি করে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পরিস্থিতি কতোটা মোকাবিলা করা যাবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে কম বৃষ্টি হওয়ার কারণেই পানির সংকট পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পানিরস্তুর নেমে যাওয়ায় শহরের বেশির ভাগ এলাকার নলকূপ শুকিয়ে গেছে। আর এতে পানিশূন্য হয়ে শুকিয়ে গেছে অন্তত ৩০০০ ট্যাঙ্কার। সূত্র দৈনিক ইংরেজি পত্রিকা তি ও এই