ইস্টার্ন ক্রিসেন্ট নিউজ ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ১৪৩টি সদস্য দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৯টি দেশ। ভোটদান থেকে বিরত ছিল মোট ২৫টি দেশ।
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সংস্থাটির সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। পরবর্তীতে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ‘ইতিবাচকভাবে পুনর্বিবেচনা’ করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ শুধু নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ভোটেই নির্ধারিত হতে পারে। গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়ায় তা খারিজ হয়ে গিয়েছিলো।
গত (১০ মে) সাধারণ পরিষদের ১৯৩ টি দেশের মধ্যে এ প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়। ১৪৩টি সদস্য দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ। ভোটদান থেকে বিরত ছিল মোট ২৫টি দেশ।
সাধারণ পরিষদে এই ভোটের মাধ্যমে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ না পেলেও সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের মর্যাদা আরও বাড়ানো হয়েছে। তারা চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পরিষদের অধিবেশন কক্ষে অন্য সদস্যদের সঙ্গে আসন পাবে, পুরোপুরি বিতর্কে অংশ নিতে পারবে, আলোচ্যসূচি প্রস্তাব করতে পারবে এবং কমিটিতে তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে পারবে। তবে কোনো প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে না।
ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় সাত মাস ধরে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৩৪ হাজারের ওপর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দিতে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব তুলেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।
পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৩টি দেশ
আলজেরিয়া, অ্যান্ডোরা, অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা, আর্মেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আজারবাইজান, বাহামা, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বার্বাডোস, বেলারুশ, বেলজিয়াম, বেলিজ, বেনিন, ভুটান, বলিভিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বতসোয়ানা, ব্রাজিল, ব্রুনাই, বুরকিনা ফাসো, বুরুন্ডি, কাবো ভার্দে, কম্বোডিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, চাদ, চিলি, চীন, কলম্বিয়া, কমোরস, কোস্টারিকা, কিউবা, সাইপ্রাস, গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া (উত্তর কোরিয়া), গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, জিবুতি, ডোমিনিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, পূর্ব তিমুর, মিশর, এল সালভাদর, নিরক্ষীয় গিনি, ইরিত্রিয়া, এস্তোনিয়া, ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, গ্যাবন, গাম্বিয়া, ঘানা, গ্রিস, গ্রেনাডা, গুয়াতেমালা, গিনি, গিনি-বিসাউ, গায়ানা, হাইতি, হন্ডুরাস, আইসল্যান্ড, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, আয়ারল্যান্ড, আইভরি কোস্ট, জ্যামাইকা, জাপান, জর্ডান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লাওস, লেবানন, লেসোথো, লিবিয়া, লিচেনস্টাইন, লুক্সেমবার্গ, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মাল্টা, মৌরিতানিয়া, মরিশাস, মেক্সিকো, মঙ্গোলিয়া, মন্টিনিগ্রো, মরক্কো, মোজাম্বিক, মিয়ানমার, নামিবিয়া, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, নিকারাগুয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, নরওয়ে, ওমান, পাকিস্তান, পানামা, পেরু, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, কাতার, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র (দক্ষিণ কোরিয়া), রাশিয়া, রুয়ান্ডা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনস, সান মারিনো, সৌদি আরব, সেনেগাল, সার্বিয়া, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, সুদান, সুরিনাম, সিরিয়া, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তিউনিসিয়া, তুর্কমেনিস্তান, তুরস্ক, উগান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তানজানিয়া ইউনাইটেড রিপাবলিক, উরুগুয়ে, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে।
বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৯টি দেশ
আর্জেন্টিনা, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, ইসরাইল, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ভোটদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ
আলবেনিয়া, অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, ফিজি, ফিনল্যান্ড, জর্জিয়া, জার্মানি, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মালাউই, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মোনাকো, নেদারল্যান্ডস, উত্তর মেসিডোনিয়া, প্যারাগুয়ে, মলদোভা প্রজাতন্ত্র, রোমানিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, ভানুয়াতু।