ইসরায়েলে ৩ শতাধিক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

Eastern
3 Min Read

দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে হামলার জবাব দিতে রবিবার শতাধিক ড্রোন নিয়ে ইজ়রায়েলে হামলা চালিয়েছিল তেহরান

সিরিয়ায় কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ ১১ জন নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয় তেহরান। সেই ঘোষণার সূত্র ধরে গতকাল শনিবার রাতে ‘অপারেশন ট্রুথফুল প্রমিজের’ আওতায় ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা সেই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে তেহরান।

এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।

এই  সবার জবাবে গতকাল শনিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। গতকাল শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।

ইরান ইসরায়েলের নতুন পরমাণু” বিমানঘাঁটিতেও আক্রমণ করেছে, যেটি প্রায়শই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র আমদানি করতে ব্যবহৃত হত।

হামলার পর ইরান আমেরিকাকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই সংঘর্ষের মাঝে  যেন না আসে এবং ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার সাহায্য যেন না করে, অন্যথায় পরিণতি ভয়াবহ হবে।

ইসরায়েলের রামন,গ্যালোনে ইরানের পক্ষ থেকে অনেক হামলা হয়েছে, গ্যালিলেও রেড অ্যালার্ট চলছে।

যুদ্ধ যাতে বাড়তে না পারে সেজন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আজ বিকেল চারটায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে।

ইসরায়েলের উপর ইরানের হামলা তেহরান থেকে টরন্টো পর্যন্ত উত্সব উদযাপন করা হচ্ছে, কিছু বিশিষ্ট ফিলিস্তিনী সাংবাদিক এটিকে ঈদের মতো উত্সব হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ইরানের নেতৃত্বাধীন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এবং তারা বর্তমানে আমেরিকান কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করছে।

ইরানের এম্বেসিতে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায়, ইরান সরাসরি ইসরাইলকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস দেখিয়েছে এবং ইসরায়েলের উপর সরাসরি আক্রমণ

ইরানের লক্ষ্য যাই হোক না কেন,দীর্ঘকাল ধরে চলা ফিলিস্তিনি গণহত্যার মধ্যে এটিই প্রথম দেশ যেটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ নেমেছে, এমনকি যদি এটি তার এম্বেসিতে হামলার অজুহাত ছিল।

মনে হচ্ছে এই হামলার পর ফিলিস্তীন ও গোটা মিডীলিস্টে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় চল্লিশ হাজার ফিলিস্তিনী শহীদ হয়েছেন ও কয়েক লক্ষ ফিলিস্তিনী জখমী হয়েছেন এবং প্রায় সব ফিলিস্তিনী গৃহহীন হয়েছেন.

Share This Article
Leave a Comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।