ইস্টার্ন ক্রিসেন্ট: নয়াদিল্লি, 02 আগস্ট 2023। জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দের সভাপতি হজরত মাওলানা সৈয়দ মাহমুদ আসাদ মাদানী সাহেব উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জ্ঞানভাপি মসজিদ নিয়ে দেওয়া সাম্প্রতিক বিবৃতিকে অন্যায্য এবং বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন। মাওলানা মাদানী বলেন জ্ঞানবাপী মসজিদের বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির পক্ষে বিচারিক প্রক্রিয়াকে শুধু সম্মান করা নয় অন্যদেরও সম্মান করতে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।
মাওলানা মাদানী বলেন ন্যায়ের নীতির জন্য এটা অপরিহার্য যে তা যেন কোনো বাহ্যিক হস্তক্ষেপ বা চাপ ও কোনো পক্ষপাত থেকে মুক্ত থাকে। এই নীতি থেকে সরে আসা আমাদের বিচার ব্যবস্থার সততা ও স্বচ্ছতার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা বিশ্বাস করি যে একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন বিচার বিভাগ একটি গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি এবং আইনের শাসনকে যে কোনো মূল্যে সমুন্নত রাখতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ বা নিম্ন বিচার বিভাগীয় বিষয়গুলিকে প্রভাবিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা অন্যায্য এবং বিপথগামী।
মাওলানা মাদানী বলেছিলেন যে এই সাব-জুডিসিয়াল বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী কেবল একটি সুষ্ঠু বিচারকে প্রভাবিত করার নিরর্থক প্রচেষ্টাই করেননি, পাশাপাশি দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি ও উত্তেজনা বৃদ্ধির এবং ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস হারানোর চেস্টা রয়েছে। তাই সংবেদনশীল আইনি বিষয়ে মন্তব্য করার সময় সতর্কতা ও সংযম অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ও আস্থার পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব জনপ্রতিনিধির ওপর চাপানো হয়। অত এবং আমরা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে আইনের শাসনের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখাতে এবং যে কোন রাজনৈতিক প্রয়োজনের চেয়ে জাতি এবং এর নাগরিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।
মাওলানা মাদানি বলেন জমিয়ত উলামা ই হিন্দ শুরুতে মসজিদের ইন্তেজামিয়া কমিটি ছাড়া অন্য কোনো সংগঠন ও দলকে এবং জনগণকে প্রতিবাদ এবং কোনো বিচারিক হস্তক্ষেপ না করার আবেদন জানিয়েছিল যার ওপর মুসলিম সংগঠনের অধিকাংশ সংগঠন এখনও অনুসরণ করছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর ফের দেশে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক ও আলোচনার ধারা শুরু হয়েছে যা মোটেও দেশের স্বার্থে নয়। এটিকে ইসু করে দেশে যে নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তার পরিণতি অতীতের পাশাপাশি বর্তমানেও এর প্রতিনিয়ত ভোগ করছে গোটা দেশ। তাই বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং আবেগপ্রবণ রাজনীতি পরিহার করা খুবই জরুরী।